বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
ছয় বছর পর দখলমুক্ত কোর্ট ষ্টেশনের কোটি টাকা দামের বাড়ি জমকালো আয়োজনে সম্পন্ন হয়েগেলো ধর্মনগর ত্রিপুরায় কৃষ্ণ প্রিয়া আন্তর্জাতিক নৃত্য উৎসব ২০২৪ হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে সুষ্ঠভাবে কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত। হবিগঞ্জ শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের পরীক্ষার হল পরিদর্শনে আসেন শাবিপ্রবির ভাইস চ্যান্সেলর। প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে হকৃবি’র বাজেট ঘোষণা আন্তর্জাতিক সম্মাননা “টেরি বেকার” পুরস্কার পেলেন হবিগঞ্জের তোফাজ্জল সোহেল আকাশে ড্রোন দিয়ে ইমোজি তৈরির বিশ্ব রেকর্ড হবিগঞ্জ সচেতন নাগরিক কমিউনিটির কার্যকরী কমিটি গঠন। কালচারাল অফিসার অসিত বরণের অপসারণের দাবিতে সিলেটে গণস্বাক্ষর হবিগঞ্জ জেলার উন্নয়ন ও সেবার মনোভাব নিয়ে জনগনের পাশে থাকতে চাই- নবাগত জেলা প্রশাসক ড. মোঃ ফরিদুর রহমান

অভিযুক্ত ব্যক্তিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করুন

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৭
  • ৫০২ বার পঠিত
ফাইল ছবি

বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনে অগ্নিসংযোগের দায়ে যে ২৯ ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে এবং সিলেটের মহানগর বিচারিক হাকিম আদালত যাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন, তাঁদের অধিকাংশই অগ্নিসংযোগের ঘটনার সময় সরকারপন্থী ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী ছিলেন, অন্যরা সরকারি দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। উল্লেখ্য, ঘটনার পরপরই ইসলামী ছাত্রশিবিরের দুই কর্মী ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে আদালতে দুটি পৃথক নালিশি মামলা করেছিলেন; আর ছাত্রাবাসটির তত্ত্বাবধায়ক শাহপরান থানায় মামলা করেছিলেন অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে। এই তিনটি অভিযোগ একীভূত করে আদালত পুলিশকে ঘটনা তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। পুলিশ ও সিআইডি দুই দফায় তদন্ত করে, তারপর অধিকতর তদন্ত করে পিবিআই। ওই সব তদন্তেই অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ‘প্রমাণ পাওয়া যায়নি’ বলে তাঁদের অব্যাহতির সুপারিশ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেশ করা হয়।

পুলিশের এই তিনটি সংস্থার ব্যর্থতার পরিপ্রেক্ষিতেই বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা হয় এবং এর ফলে ছাত্রাবাসে অগ্নিসংযোগকারীদের পরিচয় বেরিয়ে আসে। এটা এখন স্পষ্ট যে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্তৃপক্ষগুলোর কথিত তদন্তে সত্য উদ্‌ঘাটনের দায়িত্ব এড়ানো হয়েছে রাজনৈতিক বিবেচনা থেকে। রাজনৈতিক সহিংসতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের অপরাধের বিচার করার ক্ষেত্রে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো ক্ষমতাসীন দল কিংবা তাদের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ছাড় দেয়—সিলেটের এ ঘটনা তার একটা সুস্পষ্ট দৃষ্টান্ত।

কিন্তু এই চর্চা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এর ফলে আইনের শাসন দুর্বল থেকে দুর্বলতর হচ্ছে, বিচারহীনতার পরিবেশ পরিব্যাপ্ত হচ্ছে এবং অপরাধ করে শাস্তির ঊর্ধ্বে থাকা যায় এমন ধারণা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটা শুধু রাজনৈতিক সংস্কৃতির পক্ষেই ক্ষতিকর হচ্ছে না, পেশাদার অপরাধবৃত্তি প্রসারের পথও খুলে দিচ্ছে। অপরাধীরা আরও বেপরোয়া হচ্ছে।

এসবের অবসান ঘটানো দরকার। শুধু দেশের স্বার্থে নয়, ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতির স্বার্থেও। ছাত্রাবাসে অগ্নিসংযোগের দায়ে যে ২৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে, তাঁরা এখন যেখানেই থাকুন, যে সংগঠনই করুন না কেন, সবাইকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হোক।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved  2020
Theme Developed BY ThemesBazar.Com