শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:১০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
চিত্রনায়িকা নিপুণ শিল্পী সমিতি থেকে আজীবন বহিষ্কার। হবিগঞ্জে পুলিশ,আওয়ামী লীগ সহ ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়। হবিগঞ্জ বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত। সাবেক সেনাপ্রধান কে এম সফিউল্লাহ মারা গেছেন শ্রীমঙ্গলে ফসলি জমির মাটি কাটার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন ওয়াইল্ডলাইফ জার্নালিস্ট অফ দ্য ইয়ার’ পদক পেলেন শ্রীমঙ্গলের বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী হবিগঞ্জ জেলা শাখার দায়িত্বশীল সম্মেলন সম্পন্ন ছয় বছর পর দখলমুক্ত কোর্ট ষ্টেশনের কোটি টাকা দামের বাড়ি জমকালো আয়োজনে সম্পন্ন হয়েগেলো ধর্মনগর ত্রিপুরায় কৃষ্ণ প্রিয়া আন্তর্জাতিক নৃত্য উৎসব ২০২৪ হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে সুষ্ঠভাবে কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত।

হবিগঞ্জে পুলিশ,আওয়ামী লীগ সহ ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়।

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ২৭ বার পঠিত

স্টাফ রিপোর্ট: হবিগঞ্জের সাবেক তিন সংসদ সদস্য, তিন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, দুই মেয়র ও সাবেক পুলিশ সুপারসহ ৩১ জনের নামে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। জেলা সদরে রাজনগর এলাকার ফজল মোহাম্মদের ছেলে ছাত্রআন্দোলনে গুলিবিদ্ধ সালেহ আহমেদ গত সোমবার ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বরাবর এ অভিযোগ দায়ের করেন। এতে উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তরা গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনে ছাত্রজনতার উপর সশস্ত্র হামলা চালিয়ে একজন নিহত ও শতাধিক লোককে আহত করেন। হামলার নির্দেশদাতা হিসেবে সাবেক তিন এমপি- জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোঃ আবু জাহির, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ খান ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের যথাযথ তদন্তপূর্বক বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনালের চীফ প্রসিকিউটর বরাবর আবেদন জানান বাদী। আরও অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন, হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীর চৌধুরী, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চৌধুরী, মুশফিউল আলম আজাদ ও মোতাচ্ছিরুল ইসলাম, সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিজান ও আতাউর রহমান সেলিম, যুক্তরাজ্য প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ, হবিগঞ্জের সাবেক পুলিশ সুপার আক্তার হোসেন, সাবেক সহকারি পুলিশ সুপার খলিলুর রহমান, সদর মডেল থানার সাবেক পরিদর্শক (তদন্ত) মুসলেহ উদ্দীন, সাবেক এমপি আবু জাহিরের সরকারি দেহরক্ষী (পুলিশ কনস্টেবল) মাহবুব আহমেদ, ব্যক্তিগত সহকারি (পিএ) সুদীপ দাস, হবিগঞ্জ সদর উপজেলায় চানপুর গ্রামের আব্দুল মালেক, গোপায়া আনন্দপুরের মোঃ আকবর আলী, তাঁর ভাই আলী হোসেন রহমান সাহেদ, সদর উপজেলায় বালিহাটা গ্রামের আবদুল হাই, উমেদনগর এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা অমিয় রায়, জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি শিমুল পাল, যশের আন্দার মাখন পাল, বুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খোকন চন্দ্ৰ গোপ, উমেদনগরের আলোচিত যুবলীগ নেতা সবুজ মিয়া, জেলা তথ্য প্রযুক্তি লীগ সভাপতি আবুল কাশেম, বাবুল রাউত ওরফে পাট্টা বাবুলের ছেলে কৃষ্ণ রাউত, তেঘরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ সেবুল মিয়া, মোঃ সফর আলী, মাধবপুর উপজেলায় আলাকপুর গ্রামের তাজুল ইসলাম, একই উপজেলার জগদীশপুর গ্রামের কাজী পলাশ ও হবিগঞ্জ শহরে রাজনগরের আওয়ামী লীগ নেতা সাকী শাহসহ ১০০ জন। অভিযোগকারী সালেহ আহমেদ জানান, মোঃ আবু জাহির, আব্দুল মজিদ খান ১ জুন এবং ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ৪ আগস্ট উস্কানীমূলক বক্তব্য দিয়ে ছাত্রজনতার উপর হামলা চালিয়েছেন। এতে তিনি নিজেও গুলিবিদ্ধ হয়ে সিলেটের নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসা নেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020
Theme Developed BY ThemesBazar.Com