প্রেস বিজ্ঞপ্তি: আজ ২০/১২/২০ ইং তারিখ সকাল ১১ ঘটিকায় উপজেলা সদর ইউনিয়ন অফিস প্রঙ্গনে এস এস সি ৯৫ ব্যাচ সিলেট ডিভিসন ও যুক্তরাষ্ট্র হবিগঞ্জ জেলা সমিতির পক্ষ থেকে শাকিল কে টমটম প্রদান করেন হবিগঞ্জ সদর উপজেলার চেয়ারম্যান ও হবিগঞ্জ পশ্চিম এলাকায় আমার জন্মস্থান ২৪ গ্রামের বারো যুব সংঘের সম্মানিত সভাপতি মোতাচ্ছির ভাই, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাখাওয়াত হোসেন রুবেল সাহেব, যুক্তরাষ্ট্র হবিগঞ্জ জেলা সমিতির সম্মানিত উপদেস্টা সৈয়দ মাহবুব সুমন সাহেব , ডাঃ জাবের ভাই ও ৪ নং পইল ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান সৈয়দ মঈনুল হক আরিফ সাহেব এবংএস এস সি ৯৫ ব্যাচ সিলেট ডিভিসন এর এডমিন সিরাজুল ইসলাম বাচ্চু,আমাদের গ্রুপের অন্যতম সক্রিয় বন্ধু মশিউর রহমান যাদু,শেখ নুরুল হক নুরু, সাইফুদ্দিন জাবেদ, গৌতম রায়, কাওসার আহমেদ জনি চৌঃ এবং বন্ধু সামসুলের ছোটভাই সুমন ইসলামসহ উপস্হিত ছিলেন।
এস এস সি ৯৫ ব্যাচ সিলেট ডিভিসন এর পক্ষ থেকে হবিগঞ্জ জেলা সদরের পইল ইউনিয়নের বাড়াপইত গ্রামের ৩য় শ্রেনীতে পড়ুয়া ১২ বছরের ছেলে দূর্ঘটনায় কবলিত শাকিল কে সাহায্যের আবেদনে সাড়া দেয় প্রবাসী যুক্তরাষ্ট্র হবিগঞ্জ জেলা সমিতি ( ইনক) এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ সামসুল ইসলাম। আজ এই পরিবারটি কে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা মূল্যের (প্রায়) একটি আটো রিক্সা টমটম দান করা হয়েছে।
ঘটনাটি ছিল:- হবিগঞ্জ সদরের পইল ইউনিয়নের বাড়াপইত গ্রামের আব্দুল বারিকের তৃতীয় শ্রেনীতে পড়ুয়া ১২ বছরের অবুঝ শিশু শাকিল ৫ জনের সংসারের খাবার যোগান দিতে যেয়ে একটি দুর্ঘটনায় তারা বাঁচা মরার লড়াই। শাকিলের ছোট আরো ২ ভাই এবং মা,বাবাসহ পরিবারের সদস্য সংখ্যা পাঁচ জন।তার বাবা আব্দুল বারিক পিত্ততলীতে পাতর অপারেশন করতে যেয়ে ভুল অপারেশন হয়েছে যা ২২ হাজার টাকা ঋণ করে গরীব মানুষ খরচ করতে হয়েছে। অপারেশন ভুল হওয়াতে আবারো ১৬/১৭ হাজার টাকা ঋণ করে অপারেশন করেছেন ঠিকই, কিন্তুু আব্দুল বারিক আর কোন কাজ করতে পারবেন না,শুরু হয়েছে সংসারে অনাহার অর্ধাহারে দিন কাটানো এবং মাথায় ঋণের বোঝা।এমতাবস্হয় করোনার কারণে স্কু্ল বন্ধ থাকাতে তৃতীয় শ্রেনীর ১২ বছরের শাকিল ভ্যানগাড়িতে করে হবিগঞ্জ সদর হসপিটালের সামনে পুরাতন কাপড় ও প্লাস্টিক সামগ্রী বিক্রি করে যা দিনে ১০০/১৫০ টাকা কামাই করে ৫ জনের পরিবারের মুখে ভাত তুলে দেওয়ার চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এরই মাঝে শাকিল গত নভেম্বর মাসের ১ তারিখে গ্রামের বাড়ী বারাপইত থেকে সকালে ভ্যানগাড়ি নিয়ে হবিগঞ্জ আসার পথে একটি পুকুরপাড়ে ভ্যানগাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়ীসহ পুকুরে পড়ে যায় এবং তার মাথার কপালের পাশে হাড় ফেটে রক্তাক্ত জখম হয়।এলাকার মানুষে হসপিটাল নিয়ে আসে ১৯ টা স্যালাই করে শাকিল কে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিক্যালে রেফার করে।সিলেট তো দুরের কথা হবিগঞ্জেই ৫০ টাকা খরচ করে চিকিৎসা করার মতো তার মা বাবার সামর্থ্য নেই,তাই এলাকার ২/১ জন মানুষ ও স্হানীয় সমাজসেবা অফিসের সহযোগীতায় তাকে হবিগঞ্জেই চিকিৎসা করানোর অনুরোধ করার ফলে হসপিটাল কতৃপক্ষ সম্মত হয়ে চিকিৎসা শুরু করেন,কিন্তুু কোথায় পাবে শাকিল চিকিৎসার টাকা, কোথায় পাবে মা,বাবা ও ভাইদের পেটের খাবার।অকুল সাগরে ভাসেন শাকিলের মা,বাবা এবং চোখে নেমে আসে অন্ধকার।
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply