বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
ছয় বছর পর দখলমুক্ত কোর্ট ষ্টেশনের কোটি টাকা দামের বাড়ি জমকালো আয়োজনে সম্পন্ন হয়েগেলো ধর্মনগর ত্রিপুরায় কৃষ্ণ প্রিয়া আন্তর্জাতিক নৃত্য উৎসব ২০২৪ হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে সুষ্ঠভাবে কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত। হবিগঞ্জ শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের পরীক্ষার হল পরিদর্শনে আসেন শাবিপ্রবির ভাইস চ্যান্সেলর। প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে হকৃবি’র বাজেট ঘোষণা আন্তর্জাতিক সম্মাননা “টেরি বেকার” পুরস্কার পেলেন হবিগঞ্জের তোফাজ্জল সোহেল আকাশে ড্রোন দিয়ে ইমোজি তৈরির বিশ্ব রেকর্ড হবিগঞ্জ সচেতন নাগরিক কমিউনিটির কার্যকরী কমিটি গঠন। কালচারাল অফিসার অসিত বরণের অপসারণের দাবিতে সিলেটে গণস্বাক্ষর হবিগঞ্জ জেলার উন্নয়ন ও সেবার মনোভাব নিয়ে জনগনের পাশে থাকতে চাই- নবাগত জেলা প্রশাসক ড. মোঃ ফরিদুর রহমান

দুর্বৃত্তদের ধরুন, ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ান

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৭
  • ৪৮৯ বার পঠিত
ফাইল ছবি

রংপুরের গঙ্গাচড়ার অঘটনটি হঠাৎ করেই ঘটেনি। মৃত খগেন রায়ের ছেলে টিটু রায় অবমাননাকর স্ট্যাটাস দিয়েছেন বলে ৫ নভেম্বর গঙ্গাচড়া থানায় মামলা করেছিলেন একজন। তাহলে পুলিশ কেন ঘটনাটি দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিল না? তারা আগেভাগে ব্যবস্থা নিলে হয়তো সেখানকার হিন্দু পরিবারের বাড়িঘরগুলো পুড়ত না। অন্যদিকে বিক্ষুব্ধ লোকদের ঠেকাতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে একজন নিরীহ মানুষ মারা যাওয়ার ঘটনাও দুঃখজনক।

এর আগে ২০১২ সালে কক্সবাজারের রামুতে, ২০১৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ফেসবুকে ভুয়া আইডি ব্যবহার করে স্ট্যাটাস দিয়ে দুর্বৃত্তরা অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করে। তারা রামুতে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের এবং নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের বহু ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে ও জ্বালিয়ে দেয়। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, কোনো ঘটনায় এখন পর্যন্ত অপরাধীরা শাস্তি পায়নি।

রংপুরের ঘটনাটি রহস্যাবৃত। সেখানে অভিযুক্ত ব্যক্তিই ধর্মীয় অবমাননাকর কোনো স্ট্যাটাস দিয়েছেন, নাকি তাঁকে ফাঁসানোর জন্য কেউ এই দুষ্কর্ম করা হয়েছে, সেটি খতিয়ে দেখা দরকার। কেউ ধর্মীয় অবমাননাকর কিছু করলে দেশের প্রচলিত আইনে তাঁর বিচার হবে। কিন্তু সেটিকে অজুহাত হিসেবে খাড়া করে কোনোভাবেই সম্প্রদায়বিশেষের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া চলতে পারে না। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারও নেই। পাঁচ দিন আগে দায়ের করা মামলার তদন্তের আগেই কেন হিন্দুদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হলো? এর পেছনে মহলবিশেষের উসকানি আছে কি না, সেটিও দেখার বিষয়।

এলাকার পরিস্থিতি থমথমে। বিশেষ করে আক্রান্ত হিন্দু পরিবারগুলো ভয়ভীতির মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তথা সরকারের দায়িত্ব তাদের নিরাপত্তা দেওয়া। যাদের ঘরবাড়ি পোড়ানো হয়েছে, তারা এখন খোলা আকাশের নিচে বাস করতে বাধ্য হচ্ছে। অবিলম্বে তাদের ঘরবাড়িগুলো পুনর্নির্মাণ করে দেওয়া প্রয়োজন।

আমরা পুরো ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত এবং অপরাধীদের শাস্তি দাবি করছি। কেউ ধর্মীয় অবমাননাকর কিছু করলে আইন অনুযায়ী তার বিচার হবে। কিন্তু তাই বলে ধর্মের নামে সম্প্রদায়বিশেষের ওপর সংঘবদ্ধ হামলা এবং তাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া বরদাশত করা যায় না। অপরাধী যে-ই হোক, তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved  2020
Theme Developed BY ThemesBazar.Com